যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার । গত বছর দেশটি থেকে বাংলাদেশের পোশাক ও অন্যান্য পণ্যের মোট রপ্তানি আয় ১ হাজার ১১৭ কোটি বা ১১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। রপ্তানির মাধ্যমে মার্কিন আমদানিকারকদের কাছে বাংলাদেশি পণ্য যেমন বিক্রি হয়, তেমনি দেশটি থেকে নিয়মিত আমদানিও করছে বাংলাদেশ। গত বছর আমদানিকৃত বিভিন্ন পণ্যের অর্থমূল্য ছিলো ৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। ইউএস সেনসাস ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৮১ কোটি ৩৯ লাখ বা ২ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ।
গত বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রতি মাসে গড়ে ২৩ কোটি ৪৪ লাখ ডলারের বেশি মূল্যের পণ্য কিনেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, অর্থমূল্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় পরিমাণে আমদানি হয় এমন পণ্যের মধ্যে রয়েছে খনিজ জ্বালানি পণ্য, লোহা ও ইস্পাত, তেলবীজ, শিল্প ও ঔষধি উদ্ভিদ, পশুখাদ্য ও তুলা।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ বোয়িং কিনেছে। সেগুলো রক্ষণাবেক্ষণের যন্ত্র ও যন্ত্রাংশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিনতে হবে। বাংলাদেশে ডাটা সেন্টার বানাতে যে প্রযুক্তি সরঞ্জাম ও অনুষঙ্গ প্রয়োজন, তার সব কেনা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রেরই প্রতিষ্ঠান ওরাকল থেকে। এছাড়া দেশটির সিসকো, ডেল ও মাইক্রোসফটের মতো বড় প্রযুক্তি সেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বাংলাদেশ নিয়মিত পণ্য ক্রয় করে থাকে। ডিজিটাল বাংলাদেশে এ ধরনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর দুরূহ কাজ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। আবার চিকিত্সাবিজ্ঞানের সেবায় রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান জিই (জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি)। এছাড়া দেশটি থেকে আমদানি হয় বাংলাদেশের সবচেয়ে শ্রমঘন পোশাক শিল্পের সুতা ও কাপড়ের কাঁচামাল তুলা। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে বড় অর্থমূল্যের পণ্য ও সেবা ক্রয় করে থাকে বাংলাদেশ। এসব ক্ষেত্রে দেশটির গ্রহণযোগ্যতাও ভালো।